ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করা জরুরি কেন?



পার্ট টাইম বা খণ্ডকালীন চাকরি বলতে আসলে আমরা কী বুঝি?
এ ধরণের চাকরিগুলো সাধারণত দিনে কয়েক ঘণ্টা কিংবা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, কল সেন্টারের কাজ, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় নির্বাহী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি। তার মানে, তুমি সহজেই পড়াশুনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে নিজের মেধা এবং শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে নিতে পারো খণ্ডকালীন চাকরির মাধ্যমে।
তবে এ নিয়ে বেশ কিছু নেতিবাচক মতবাদও রয়েছে। যেমন, ছাত্রাবস্থায় চাকরি করলে পড়াশুনার ক্ষতি হয় কিংবা একাডেমিক কাজে সক্রিয়তা কমে যায় ইত্যাদি। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! চলো, দেখে নেই ছাত্রজীবনে খণ্ডকালীন চাকরি করা কেন জরুরি। 

১। অর্থ উপার্জন

পড়াশুনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের এক দারুণ উপায় হলো খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগ দেয়া। অর্থ উপার্জনের ফলে যেমন স্বাবলম্বী হওয়া যায়, তেমনি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বহুগুণে। টানা এক মাস পরিশ্রমের পর মাস শেষে পারিশ্রমিক হাতে পেয়ে এবং তা দিয়ে শখ পূরণ করে এক স্বর্গীয় আনন্দ লাভ করতে পারবে খণ্ডকালীন চাকরির মাধ্যমে।

ভ্রমণে যাবার শখ থাকলে সহজেই যেতে পারবে, কিনতে পারবে একান্ত শখের কোনো জিনিস। আর সেটা যদি হয় নিজের উপার্জনের টাকায়, তবে সুখটা বোধহয় বহু গুণ বেড়ে যায়! 

২। নতুন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন

চাকরি করার মধ্য দিয়ে এমন কিছু দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব যা শুধু পড়াশোনা থেকে অর্জন করা যায় না। যেমন যোগাযোগ দক্ষতা, দলগতভাবে কাজ করা, যেকোন সমস্যার সমাধান বের করা, পরিকল্পনা করা এবং যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করা, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা ইত্যাদি দক্ষতা অর্জন করা যায়।
বর্তমান যুগের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে শক্তিশালী সিভির অত্যন্ত প্রয়োজন
যেহেতু একজন ছাত্র তার পড়াশুনা এবং অন্যান্য কাজের পাশাপাশি চাকরির কাজ করে থাকে, সেহেতু তার উপর কাজের চাপ অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। এতে তার জীবনে যেকোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সামর্থ্য গড়ে ওঠে। যা পরবর্তী চাকরিজীবনে তাকে সফল হতে সাহায্য করবে। চাকরি যদি তোমার পড়াশুনার বিষয় সম্পর্কিত হয় তবে তা ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ে কারিগরি শিক্ষাস্বরূপ কাজ করবে।

৩। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া  

পার্ট টাইম জবের সুবাদে প্রচুর নতুন মুখের সাথে পরিচিত হওয়া এবং কম সময়ে অনেক মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে তোমার যোগাযোগ দক্ষতা যেমন বাড়বে, তেমন বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে চলার সামর্থ্য তৈরি হবে।

শিক্ষা পরবর্তী জীবনে যার যত বেশি মানুষের সাথে যোগাযোগ থাকে তার তত বেশি সফল হওয়ার সুযোগ থাকে। তাছাড়া যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে, সেখানে নিজের কাজ ও কর্মক্ষমতা প্রমাণ করে ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার সুযোগ পেতে পারো।

৪। সময় ব্যবস্থাপনা

সাধারণত একজন ছাত্রের পড়াশুনা ব্যতিত তেমন কোনো দায়িত্ব না থাকায় হাতে প্রচুর সময় অবশিষ্ট থাকে। সপ্তাহের এই অবশিষ্ট সময় গুলোতেই তাকে চাকরির কাজসমূহ করতে হয়। এর ফলে একটি নতুন রুটিন অনুসরণ করে তাকে চলতে হয় অর্থাৎ সময়গুলোকে ভাগ করে নিয়ে কাজ করতে শেখে সে।
সুতরাং যে ছাত্র পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরি করে সে সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য যেকোনো ছাত্রের চেয়ে বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে।

৫। শক্তিশালী সিভি তৈরিতে সাহায্য করে

বর্তমান যুগের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে শক্তিশালী সিভির অত্যন্ত প্রয়োজন। এখন শুধু রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় না বরং পড়াশুনার পাশাপাশি কার্যক্রম ও দক্ষতাসমূহকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ছাত্রজীবনে ছোটখাটো চাকরিগুলো তোমাকে নিজের জায়গাটুকু করে নিতে সাহায্য করবে।
যেহেতু সবসময় সিভি হালনাগাদ বা সংযোজন করতে হয়, সেহেতু খন্ডকালীন চাকরির ফলে ওই সংযোজনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলা যায়। এতে পড়াশুনা শেষ করার সাথে সাথেই তুমি চাকরির বাজারে নিজেকে অন্যতম সেরা প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে পারবে!

1 comment:

  1. Can Baccarat online casino and play with free bitcoin
    Baccarat online casino and play with free bitcoin: This is 카지노 where real money deccasino gambling comes into play. This site 바카라 is intended for you, not a professional

    ReplyDelete

Give us your opinion about this content.


  • Model Test
    Teachers Content
  • Model Test
    Journalism Course
  • Model Test
    Class 8
  • Model Test
    Class 5
  • Model Test
    Admission